ইন্তেকালের পরেও জীবিত থাকবেন-নবী গণ,অলী- আউলিয়াগণ, ছিদ্দিকীন তথা-সত্যবাদীগণ ও শহীদগণ
ইন্তেকালের পরেও জীবিত থাকবেন – নবী গণ,ছালেহীন তথা-অলী- আউলিয়াগণ, ছিদ্দিকীন তথা- সত্যবাদীগণ ও শহীদগণ । কিভাবে? আসুন দেখি কোরআন এবং হাদীছ শরীফ এ ব্যাপারে কি বলে ?
=========================================================
নিম্নে তা তুলে ধরা হলোঃ-
#সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহর ওলী গনের মৃত্যু নাই। মনেরেখো, যারা আল্লাহর বন্ধু (নবী, আউলিয়া ) তাদের না কোন ভয়ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে “- (সুরা ইউনুছ আয়াত নং – ৬২)।
#বরং তারা (শহীদ, আউলিয়া, ও নবী রাসুল) জীবিত ও রবের পক্ষ হতে রিজিক প্রাপ্ত”- (সুরাঃআল ইমরান অায়াত নং- ১৬৯)।
#যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়,তোমরা তাদের মৃত বলনা বরং তারা জীবিত কিন্তু তোমরা তা বুজতে পার না “-( সুরা বাকারা আয়াত নং- ১৫৪)।
#রাসুল (সঃ) বলেছেন – যখন কোন ব্যক্তি পবিত্র আত্মার অধিকারী হয়, তখন তার দেহ জমিন কখনো ভক্ষণ করে না ” – (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩য় খন্ড,৬২৭ পৃষ্ঠা)।
#রাসুলে পাক (সঃ) বলেছেন – নিশ্চ য়ই সমস্ত নবীগণ তাঁদের নিজ নিজ মাজারে জিন্দা আর তাঁরা শহীদের চেয়েও উত্তম এবং রবের পক্ষ থেকে জীবিত ” – (ইবনে আদী, মেশকাত শরিফ ১০খন্ড পৃষ্ঠা নং-৫৫৩ সহিহ হাদিস)।
#হযরত আনাস (রাঃ) বর্নণা করেছেনঃ রাসুল (সঃ) বলেছেন – নিশ্চ য়ই সমস্ত মোমিন ব্যক্তি -(নবী, ওলীগন ) তাঁদের মাজারে জীবিত এবং রিজিক প্রাপ্ত – (বায়হাক্কী শরীফ মুসনাদে আবী ইয়ালা, মুসনাদে আবী নুয়াইম ২য় খন্ড পৃষ্ঠা নং -৪৪ মেশকাত শরিফের -১০ খন্ড পৃষ্ঠা নং-৫৫৩। সহিহ হাদিস) ।
#নিশ্চয়ই আল্লাহ তালা তাঁদের রুহকে দেহের মত ক্ষমতা দান করেন। যাতে তারা ঐ ক্ষমতা দ্বারা পৃথিবীতে,আসমান ও জমিনে যত্রতত্র ভ্রমণ করতে পারেন। আপনজন বিপদে পড়লে সাহায্য করতে পারেন। এবং দুশমনদের পর্যুদস্ত করতে পারেন – (তাফসিরে মাজহরি ১ ম খন্ড পৃষ্ঠা নং-১৬৯)।
উপরোক্ত কোরানের আয়াত, হাদিস ও তাফসীরের আলোকে বুঝা যায় যে, আল্লাহর নবীগণ, রাসুল (সঃ) ও আল্লাহর বন্ধুগণ – (পীর আউলিয়া ) তাদের নিজ-নিজ মাজারে স্বশরীরে জীবিত আছেন এবং সব কিছু দেখছেন। ইহাই প্রমানিত সত্য।